বাঘাইছড়ি উপজেলা এক সময় সংরক্ষিত বনের অংশ ছিল। এ অঞ্চলে বাঘ ও ছড়ার প্রাচুর্য থাকায় এ থানার নামকরণ করা হয় ‘বাঘাইছড়ি’। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে কাপ্তাইয়ে জলবিদ্যুঃ প্রকল্পের বাঁধ নির্মাণের ফলে এতদ্ঞ্চলের নিম্নভূমি জলমগ্ন হওয়ায় উদ্বাস্ত্ত জনগণকে পূনর্বাসনের লক্ষ্যে কাচালং ও মাচালং-এর কিছু এলাকাকে বনমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এক সময় এলাকাটি রামগড় মহকুমার দীঘিনালা থানার অধীনে ছিল। ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে রাঙ্গামাটি মহকুমার আওতায় এনে বাঘাইছড়ি থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের ২৪ মার্চ এ থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। এ উপজেলার উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, পূর্বে মিজোরাম, পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও দক্ষিণে লংগদু উপজেলা অবস্থিত। এ উপজেলায় বাঙালিসহ চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, লুসাই, পাংখোয়া ও খিয়াং জাতিসত্ত্বার বসবাস রয়েছে। জনসাধারণের বেশির ভাগই কৃষির উপর নির্ভরশীল। এ উপজেলা বনজসম্পদ সমৃদ্ধ। পার্বত্যাঞ্চলের বৃহৎ বনভূমি এ উপজেলায় অবস্থিত। বাঘাইছড়ির মিজোরাম সীমান্তে সাজেক উপত্যকার অবস্থান। পার্বত্যাঞ্চলের বৌদ্ধ সাধক শ্রীমৎ সাধননান্দ মহাস্থবির (বনভন্তে) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ৮ জানুয়ারি বাঘাইছড়ি উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন ষড়াভিজ্ঞা অরহৎ বলে ধারণা করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস