রাঙ্গামাটি জেলাধীন বাঘাইছড়ি উপজেলাটি ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে সদর হতে দূরবর্তী ও পাহাড় বেষ্টিত একটি উপজেলা। এ উপজেলাটি আয়তনানুসারে জনসংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। এটি ০৮টি ইউনিয়ন ও ০১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এখানকার লোকজন অধিকাংশই চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে সময়োপযোগী এলাকার লোকজন ক্ষুদ্র-মাঝারি-বৃহৎ ব্যবসায় সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এখানকার উপজাতীয় মহিলারা আত্মকেন্দ্রিক শিল্পের মধ্যে তাঁত বুননের (উপজাতীয় পিনন, হাদি ও চাদর) মাধ্যমে অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির অন্যতম উর্পাজন। এছাড়াও স্থানীয় উৎপাদিত ফলজ, শাক-সবজি মৌসুম অনুযায়ী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করে থাকেন। একদিকে চাষীদের উৎপাদিত ফলন স্থানীয় বাজারে ন্যায্যমূলে বিক্রি হয় অপরদিকে উভয়ই লাভের অংশীদারিত্ব সুবিধা ভোগ করে থাকেন। উপজেলাটি পাহাড়-বেষ্টিত হওয়ায় এলাকার অধিকাংশ জায়গা জুড়ে সেগুন গাছের বাগান রয়েছে। এই উপজেলার বৃহত্তর রপ্তানির মধ্যেও সেগুন গাছ অন্যতম। কাঠের ক্ষুদ্র রপ্তানির মধ্যে যেমন- বাঁশ, গামারি, জারুল, মেহঘনি, চাপালিশ, অর্জন গাছ ইত্যাদি। ফলজ বাণিজ্যের মধ্যে যেমন- কমলা, মালটা, কলা, আনারস, বেল, কাঠাল, আম ও লিচু ইত্যাদি। মৌসুম অনুযায়ী চক্রাকারে রপ্তানির মাধমে এখানকার অধিকাংশ ব্যবসায়ী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে
কাজেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে এ উপজেলায় ভূমিকা অনস্বীকার্য।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস